Latest

8/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

নারীর পর্দা সম্পর্কে কোরআন ও হাদিস

নারীদের চেহারার পর্দার বিধান


পর্দা করা প্রত্যেক নর-নারীর উপর ফরজ। এমনকি পুরুষ পুরুষের সাথে ও নারী নারীর সাথেও পর্দা করা জরুরী।

★পুরুষের জন্য নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত স্ত্রী ব্যতীত সবার সামনে ঢেকে রাখা আবশ্যক।
★সন্তানের বয়স ১০ বছর হয়ে যাওয়ার পর তাকে মা-বাবার সাথে এক বিছানায় শোয়ানোর ব্যাপারেও শরঈ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ★অনিচ্ছাকৃতভাবে কারো পর্দাভূক্ত অঙ্গের কোনো অংশ প্রকাশ পেয়ে গেলে আল্লাহ তায়ালা ঈমানদারদেরকে সেদিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন।
★ইচ্ছাকৃতভাবে বেগানা নারীদের দিকে তাকাতেও নিষেধ করেছেন।




💜চেহারার পর্দা💜


নারীর মুগ্ধ করা সৌন্দর্যের মধ্যে তার চেহারাই অগ্রগন্য।

★ওলামায়ে কেরামের মত★

→ইমাম গাজ্জালী রহঃ বলেন, "যুগ যুগ ধরেই পুরুষরা তাদের চেহারা খোলা রাখত আর নারীরা মুখে নেকাব পড়ে বাইরে বের হতো। - ফাতহুল বারী, ৩৩৭/৯

→শাইখুল ইসলাম হাফেজ ইবনে হাজার রহঃ লিখেছেন, " প্রাচীন ও বর্তমান কালের নারীরা সর্বদাই পরপুরুষেরর সামনে চেহারা ঢেকে রেখে আসছে।" - ফাতহুল বারী, ৩৩৭/৯

পর্দা সম্পর্কে লিখতে গিয়ে তৎকালীন ওলামায়ে কেরাম চেহারা খোলা রাখার মাসআলাকে ততটা গুরুত্ব দেন নি কারন সেকালের নারীদের মাঝে চেহারা খোলা রাখার প্রচলন ছিল না, তাই এ ব্যাপারে কলম ধরার দরকার পড়েনি।

" তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, কিন্তু যা সাধারনত প্রকাশমান, তা ছাড়া।" - সূরা নূর, আয়াত:৩১ ↓

সাধারণত প্রকাশমান বলতে নারীর দৈর্ঘ্য ও খর্বতা, কৃশতা ও স্থূলতা প্রভৃতি, যেমন- বাতাসের দোলে বোরকার নিচের পোষাক বা দেহের কোন অংশ দেখা যাওয়া। অর্থাৎ নারীর সৌন্দর্যের কোনো কিছু অনিচ্ছায় প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি পর্দার হুকুমের থেকে বিয়োজ্য।


👎👎অনেক নারীরাই এমন সংকুচিত বোরকা, পাতলা ওড়না পড়ে যার দ্বারা তার সৌন্দর্য দৃষ্টিগোচর হয়। দেহের বিমুগ্ধ ভাজগুলো বিকশিত হয়ে পড়ে। এধরনের বোরকা পরিধান, প্রচলন ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ।👎👎

💜 এ ব্যাপারে দলিলসমূহ কুরআন-সুন্নাহর আলোকে💜

→১ম দলিল: সূরা আল আহযাব:59 -" হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।"

→→২য় দলিল: সূরা আন-নূর:30 - মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।"
( নারীরা তাদের চেহারা পর্দামুক্ত রাখার অর্থই হল তারা যেন পুরুষদেরকে তাদেরকে দেখার প্রতি আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।)


→→→৩য় দলিল: "তারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোড়ে পদচারণা না করে।" - সূরা নূর, আয়াত:৩১

(অর্থাৎ নারীদের জন্য পায়েল বা নুপুর পরে ঘর থেকে বের হওয়া হারাম। কারন এর রিনিঝিনি শব্দ পুরুষের মনে ফেতনার উদ্রেক ঘটাতে পারে।)

→→→→৪র্থ দলিল: অতিশয় বৃদ্ধ মহিলার ক্ষেএে পর্দা না করার ব্যাপারে রোখসত আছে।

সূরা আন-নূর:60 - "বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, যদি তারা তাদের সৌন্দর্য¸ প্রকাশ না করে তাদের বস্ত্র খুলে রাখে। তাদের জন্যে দোষ নেই, তবে এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।"

→→→→→৫ম দলিল: সূরা আল আহযাব:53-"তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ।"
(এ বিধানটিতে বিশেষভাবে নবী-পত্নীগনের কথা উল্লেখ থাকলেও এ বিধান সমগ্র উম্মতের জন্য প্রযোজ্য।)

→→→→→→৬ষ্ঠ দলিল: " ইহরাম অবস্থায় নারীগন নেকাব/উড়না পরিধান করবে না।" - বুখারী শরীফ, হাদিস নং- ১৮৩৮

(এই হাদীস থেকে প্রমানিত হয় যে, সে যুগের নারীরা সাধারণত নেকাব/উড়না পরিধান করতো, এজন্য ইহরাম অবস্থায় তা বিশেষভাবে নিষেধ করার হয়েছে।)


→→→→→→→৭ম দলিল: "নারীরা নারীদের সাথে (এক কাপড়ে) শরীরের সাথে শরীর মিলিয়ে শোবে না। কারন, সে স্বামীর কাছে গিয়ে তার গঠন-আকৃতির বিবরন এভাবে দেবে যে, যেন সে তাকে দেখছে।"
- বুখারী শরীফ, হাদিস নং- ৫২৪০
মোরাল অফ দ্যা স্টোরি হল, মেয়েদের চেহারার পর্দা অবশ্যই করতে হবে। নারীর সৌন্দর্যের মূল কেন্দ্রবিন্দুই হল, তার চেহারা/মুখ। যা অন্যের নিকট নারীকে আকর্ষনীয় করে তোলে তা হল নারীর চেহারা/মুখ। আর এই মুখ খোলা রেখে বাহিরে বের হওয়া মানে অন্য মানুষকে, পরপুরুষকে তাকে দেখার জন্য আহবান জানানো। বিবেকবান মানুষের পক্ষে এটা বুঝতে খুব বেশি কাঠ-খড় পোড়াতে হয় না।

আল্লাহ সবাইকে সঠিকটা বুঝার ও গ্রহন করার তৌফিক দিক। আমীন।

Post a Comment

0 Comments